বিশেষ রিপোর্ট।।
উত্তর চট্টলার প্রাচীনতম দ্বীনি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কাগতিয়া কামিল এম.এ. মাদরাসা। সৃষ্টিলগ্ন থেকে অদ্যাবধি এ মাদরাসা দ্বীনি শিক্ষা বিস্তারে ইতিহাস ও ঐতিহ্যের সোনালি স্মারক হিসেবে ইতিহাসে সমাদৃত। এ মাদরাসায় একদিকে যেমন কুরআন ও হাদিসের জ্ঞান বিতরণের প্রাণকেন্দ্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত অন্যদিকে সুযোগ রয়েছে তাসাউফের জ্ঞান আহরণের।
সুবিশাল একাডেমিক ভবন, সুনিবিড় ব্যবস্থাপনা, আধুনিক কম্পিউটার ল্যাব, সমৃদ্ধ শিক্ষক প্যানেল ও সহশিক্ষা কার্যক্রম উভয় ক্যাম্পাসের শিক্ষাদানের ক্ষেত্রে বহুমাত্রিক জ্ঞান বিতরণের ক্ষেত্রে অসামান্য ভূমিকা পালন করছে । দেশ ও জাতির কাঙ্খিত মানবসম্পদ তৈরির ক্ষেত্রে এ মাদরাসার ভূমিকা চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে।
গত শনিবার (৭ ডিসেম্বর) বায়েজিদ মহানগর ক্যাম্পাসের সামনের ময়দানে অনুষ্ঠিত এশিয়াখ্যাত দ্বীনি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কাগতিয়া এশাতুল উলুম কামিল এম.এ মাদরাসার ৯০তম এনামী জলসায় বক্তারা এসব কথা বলেন।
জলসায় সভাপতিত্ব করেন চবি সিনেট ও সিন্ডিকেট সদস্য এবং কাগতিয়া মাদরাসার গভর্নিং বডির সভাপতি প্রফেসর ড. মোহাম্মদ আবুল মনছুর।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চবি গণিত বিভাগের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. জালাল আহমদ, নানুপুর মাজহারুল উলুম গাউছিয়া ফাযিল মাদ্রাসার সাবেক অধ্যক্ষ হযরতুলহাজ্ব আল্লামা মুছলেহ উদ্দীন আহমদ মাদানী। বক্তব্য রাখেন মুফতি কাজী মোহাম্মদ আনোয়ারুল আলম ছিদ্দিকী, মাওলানা মুহাম্মদ ফোরকান, মাওলানা মুহাম্মদ জসিম উদ্দিন নূরী, মাওলানা মুহাম্মদ গোলাম রাব্বানি ফয়সাল।এনামী জলসায় মাদরাসার কৃতি শিক্ষার্থীদের পুরস্কার বিতরণ করা হয়।
মিলাদ-কিয়াম শেষে দেশ, জাতি ও বিশ্ব মুসলিম উম্মাহর সুখ, শান্তি-সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ মুনাজাত পরিচালনা করেন কাগতিয়া দরবার শরীফের মাননীয় মোর্শেদ, আওলাদে রাসূল (দ.) হযরতুলহাজ্ব আল্লামা অধ্যক্ষ শায়খ ছৈয়্যদ মোর্শেদে আজম ।
আরো দেখুন:You cannot copy content of this page